কিভাবে বিসিএস প্রিপারেশন শুরু করা যায়- How to start BCS Preparation

আজকের আলোচনার বিষয় কিভাবে বিসিএস প্রিপারেশন শুরু করা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতার পরীক্ষা হলো বিসিএস পরিক্ষা। অনর্সা পড়ার পরে সবাই  ইচ্ছে হয় বিসিএস পড়ার। কেননা বাংলাশের সবচেয়ে বড় চাকরির প্রথম ধাপই হচ্ছে বিসিএস। এই স্বপ্নের বিসিএস কে কেন্দ্র করে মানুষ অনেক স্বপ্ন দেখে। 

কিভাবে বিসিএস প্রিপারেশন শুরু করা যায়- How to start BCS Preparation

বিসিএস মানেই অনেক কিছু। বতর্মানে বিসিএস এর প্রিপারেশন অনেক কঠিন হচ্ছে। প্রতিযোগিতা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চাকরি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রিপারেশন নিতে হয় অনেক আগে থেকেই। 

আজকের আর্টিকেলে কিভাবে বিসিএস প্রিপারেশন শুরু করা যায়- How to start BCS Preparation  সেই বিষয়ে আলোচনা করবো।

নিজেকে সিরিয়াস হিসেবে তৈরি করা

প্রথমেই নিজের মনকে সেট করতে হবে। বিসিএস অন্য যেকোন পরীক্ষার মতই পরীক্ষা নয়। বিসিএস মানে অনেক বড় একটা লড়াই। তাই নিজেকে প্রিপারেশন বিষয়ে সিরিয়াস হতে হবে। পড়ালেখা শুরা করার জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। কাল পড়ব কাল পড়ব করতে হবে না। পড়া শুরু করে দিতে হবে। প্রয়োজনে রুটিন করে পড়াশোনা করতে হবে। অনেকে আছে বই কিনে জমা করে রেখে দেই। বই বেশি কেনার দরকার নেই প্রয়োজনীয় বই কিনে সেটি পড়তে হবে। 

কিভাবে বিসিএস প্রিপারেশন শুরু করা যায়- How to start BCS Preparation

আপনার যদি স্বপ্ন থাকে একজন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার তাহলে অর্নাস জীবন থেকেই বিসিএস পড়াশোনা শুরু করুন। কেননা অর্নাস পাস করে শর্ট টাইমের মধ্যে আপনি বিসিএস এর সিলেবাস শেষ করতে পারবেন না। যদিও প্রিলিমারি তে ভালো করেন পরে লিখিত ভালো করতে পারবেন না। তাছাড়া বিসিএস এর প্রিপারেশনটা অনেক বড় একটা প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা তাই নিজেকে আগে থেকেই তৈরি করা উচিত।

বিসিএস এর জন্য কত ঘণ্টা পড়াশোনা করা উচিত?

কে কত সময় পড়বে তা নির্ভর করে পড়ালেখা ও নিজের মন মাইন্ডের উপর। আপনি কোন বিষয়ে পড়ছেন সেই বিষয়টা আপনি কতটা ভালো বুঝতে পারছেন সেই বিষয়টা খেয়াল রেখে পড়াশোনা করা উচিত। নির্দিষ্ট ভাবে বলা যাবে না কত ঘণ্টা পড়লে আপনি বিসিএস এর জন্য ভালো করবেন। আপনার পড়ার গতির উপর নির্ভর করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন। বিসিএস পরিক্ষার তিনটা ধাপ আছে (ক) প্রিলিমিনারি (খ) লিখিত (গ) ভাইভা সব কিছুতে ভালো করার পরে একজন ক্যাডার হবেন। তাই বলা যায় দেখে শোনে পড়তে হবে। কেননা আপনি প্রিলিমিনারি তে ২০০ তে ২০০ পেলেও আপনার কোনো লাভ নেই। আপনাকে প্রিলিমিনারিতে শুধু পাস করতে হবে। পরে লিখিত এর জন্য বড় প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই ভেবে চিন্তে পড়াশোন করা উচিত।

সিলেবাস ফলো করা

প্রস্তুতির আগে আপনাকে অবশ্যই সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। কেননা সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা না থাকলে আপনি কোনটা থেকে শুরু করবেন আর কোনটাতে শেষ করবেন বুঝে উঠতে পারবেন না। তাই প্রথমেই উচিত সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার। পড়াশুরু করার আগেই আপনাকে সিলেবাস সম্পর্কে জানতে হবে তার পর পড়া শুরু করতে হবে।

বিগত বছরের প্রশ্নের সমাধান করা

বিসিএস এর ইতিহাসে প্রতিবারই পূর্বের প্রশ্ন থেকে আসা কিছু প্রশ্ন আসে। তাই আপনাকে বিগত সালের প্রশ্নগুলোর সমাধান করতে হবে। বিগত সালের প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করে নিয়মি সমাধান করে প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। আপনি প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা পাবেন যদি বিগত সালের প্রশ্নগুলো ফলো করনে। 

প্রতিদিনের একটি বাংলা ও ইংরেজী পত্রিকা পড়া উচিত

পত্রিকার গুরুত্ব অনেক। নিয়মিত পত্রিকা পড়লে বিসিএস এর পরীক্ষায় অনেক কাজে দিবে। তাছাড়া বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলাদেশের বিষয়বলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়বলি থেকে প্রশ্ন আসে সেজন্য আপনি যদি নিয়মিত পত্রিকা পড়েন তাহলে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার একটা ভালো ধারণা থাকবে।

নিজের জেলা সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন

বিসিএস ভাইভা বোর্ডে প্রাথীর  তাদের নিজ জেলা থেকে প্রশ্ন করা হয়। তাই আপনার জেলা সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখুন। আপনার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত, উপজেলা সংখ্যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা জায়গার সম্পর্কে একথায় নিজের জেলার সকল বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখবেন।

সময় নির্ধারণ করা

সারাদিন পড়াশোনা করলেই হবেনা। সময় করে আপনাকে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের কাজও করতে হবে। খেলাধুলা করতে হবে। তাই সকল বিষয়ে সময় নির্ধারণ করতে হবে। কেননা সময় ছাড়া কোনো কিছু সম্ভব নয়। আপনি এক মিনিট অপচয় করছেন মানে আপনি এক মিনিট পিছিয়ে গেছেন। তাই সময়কে কাজে লাগান।


লার্নি ফাইবিডির শেষ কথা

বিসিএস প্রিপারেশন ছাড়াও পড়াশোনা বিষয়ক সকল আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। আমারা নিয়মিত সকল আপডেট দিয়ে আপনাদের পাশেই থাকবো।

Next Post Previous Post