পেটের মেদ ভুড়ি কমানোর উপায়- বাসায় বসে পেটের বাড়তি মেদ কমানোর উপায়
মানুষের জীবনের চলার পথে বড় অস্বস্তিকর হচ্ছে পেটের অতিরিক্ত ভুড়ি বা মেদ। যা মানুষকে এক প্রকার অস্বস্তিকর করে তুলে। বর্তমানে বাজারের অনেক ভেজাল খাবারের মাধ্যমে এইসহ হয়ে থাকে। তবে আমরা যদি নিযম মেনে চলি তবে এই অস্বস্তিকর থেকে এড়িয়ে চলতে পারবো। আমাদের উচিত
খাবারের মেনু সম্পর্কে ধারনা থাকা। বর্তমানের বাংলাদেশের খাবের মধ্যে প্রধান খাবার হচ্ছে ভাত যা আমরা অনেকেই তিন বেলা কেউ দুুই বেলা খেয়ে থাকি। আবার কেউ অনেক ফাস্টফুডে খেয়ে থাকে। তবে এসব খেলে কি আমাদের পেটের মেদ বা ভুড়ি কমবে ?? অবশ্যই কমবে না। কারণ আমাদের কিছু পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
কিছু বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করবো যে বিষয়গুলো মেনে নিতে পারলে শুধু মেদ বা ভুড়ি নয়, বরং কোমরে মেদ, মুখের চর্বিসহ শরীরের সকল প্রকার চর্বি কমানো সম্ভব সাথে শারিরীক ভাবে অনেক সুস্থতাও থাকা যাবে।
১. তাড়াতাড়ি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন
খাওয়ার সময় ঠিক করে খেতে হবে। কেননা তাড়াহুরা করে খওয়া যাবেনা। আপনি কি খাচ্ছেন সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। খাওয়ার সময় খাবারের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াকে মনেোযোগ সহকারে খাওয়া বলা হয়। খাওয়ার সময় অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। তবে যদি আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি খেতেই হয়, তাহলে পরিমাণমত প্লেট নিয়ে সেটুকুই খেয়ে শেষ করুন। এতে বেশি খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
২. খাবার নিয়মত খেতে হবে বাদ দিতে হবে না
যদি আপনার কোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়ার কোনো অভ্যাস থাকে তবে আপনাকে এখন থেকে পরিবর্তন হতে হবে। পেটের মেদ ভুড়ি কমানোর উপায় এর মধ্যে এটা মেনে চলা একটা বড় কারণ। কেননা যদি আপনি কোনো বেলার খাবার বাদ দেন তো শারিরক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন। সব থেকে বড় কথা হলো একবেলা খাবার বাদ দিয়ে পরের বার খেতে বসলে আপনি বেশি ভোজন প্রিয় হয়ে যাবেন বেশি খেয়ে নিবেন। তাই কোনো বেলার খাবার বাদ না দিয়ে নিয়ম মত খাবার খান।
৩। খাবার সময় বড় প্লেট বাদ দিয়ে ছোট প্লেটে খাবার খান
পেটের মেদ ভুড়ি কমানোর উপায় এর মধ্যে এটিি একটা বড় বিষয়। আপনি যদি বড় প্লেট নেন । বেশি খাবেন এটাই স্বাভাবিক। ধরেন আপনি জানেন না আপনি কি পরিমাণ খাবেন। বা কতটা খেলে আপনার ভেট ভরবে। বা কতটাই বা খাওয়ার উচিত। এসব জানেন না। এখন যদি আপনাকে বড় প্লেটে খাবার দেওয়া হয় খেতে খেতে যদি আপনার পেট পূরণ হয় এবং পরে যদি দেখেন প্লেটে আরও কিছু খাবার ধরা আছে তাহলে আপনি সেই খাবার নষ্ট না করে কষ্ট হলেও খেয়ে নিবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন সেটা উতিরিক্ত খাবারে পরিণত হবে। তাই বড় প্লেট ছেড়ে ছোট প্লেট ধরুন।
৪। সৌজন্যবোধ বা কেউ ফ্রি দিলে বেশি খাবেন না
আমরা দেখেছি অনেক সময় আমরা দাওয়াত খেতে যায় বা কোনো প্রগ্রামে যাই সেখানে খাওয়া দাওয়া থাকলে অনেক মানুষ আছে যারা ইচ্ছে করেই বেশি খায়। এটা করার মেটেও ঠিক নয়। কারণ বেশি খেয়ে টার কিছু কমবে না। বরং নিজের ক্ষতি হবে। বেশি খেলে শরির চর্বি , মেদ, ভুড়ি কমার চেয়ে বেশি হবে েএটাই স্বাভাবিক। তাই পেটের মেদ ভুড়ি কমানোর জন্য আপনাকে পরিমাণ মতো খাবার খেতে হবে।
৫। অমনোযোগি খাওয়া বাদ দিন
খাবার সময় অন্যদিকে মনোযোগ দিয়ে খাওয়া যাবেনা। যেমন ধরেন কোথাও আপনি খেতে বসেছেন সেখানে অনেক জন একসাথে বসেছেন। সবার সাথে গল্প করছেন আর খাচ্ছেন। এভাবে খাওয়া যাবেনা। কারণ খাবার খাওয়ার সময় খাবারের প্রতি আপনাকে পুরো মনোযোগি হতে হবে। আপনি কি খাচ্ছেন কতটা খাচ্ছেন সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
৬। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন
পেটের মেদ ভুড়ি কমাতে হলে আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাক হবে। একথায় কোনো মানসিক চাপ নিতে হবে না। মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে হবে। কারণ মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে আপনি আপনার শরীরের কোন যত্ন নিতে পারবেন না। তাই যতটা সম্ভব হবে মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে শিখুন।
৭। নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করুন
পেটের মেদ ভুড়ি কমানোর জন্য নিয়মিত ঘুমের বিকল্প নেই। শুধু মেদ নয় বরং শরীরকে ঠিক রাখার জন্য আপনাকে নিয়মিত ঘুমাতে হবে। ঘুমের কম বেশি হলে আপনি অসুস্থ হয়ে পরবেন। যতটা সম্ভব দিনের বেলায় নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন এবং রাতের পরিমাণমত ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৮। সাদা চাল আটা বাদ দিয়ে লাল চাল আটা বেছে নিন
বাংলাদেশের প্রধান খাবার ভাত পরে রুটি ধরা যায়। আর এই দুটো খাবার প্রায় মানুষ সাদা চাল বা আটা দিয়ে তৈরি করে থাকে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে সাদা চাল বা আটা আমাদের শরীরের ওজন বা চর্বি বাড়াতে সাহায্য করছে। তাই আমাদের যতটা সম্ভব সাদা চাল বা আটার পরিবর্তে লাল আটা বা চাল ব্যবহার করতে হবে।
৯। শুয়ে বসে না থেকে নিজেকে কাজে লাগান
নিজেকে কাজের মধ্যে রাখুন। নিয়মিত খাবার খান কাজ করুন। কাজ না থাকলে ঘুড়ে বেড়ান। অলসতা না থাকার চেষ্টা করুন। শুয়ে বসে দিন কাটালে শরীরের ওজন বাড়বে, ছর্বি বাড়বে, ভুড়ি বাড়বে, অসুস্থতা বাড়বে। একথাই শুয়ে বসে থাকা চলবে না।
১০। নিয়মিত ব্যায়াম করুন
শরীরের চবি বা মেদ ভুড়ি কমানোর জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের প্রয়োজন। যারা পেটের মেদ ভুড়ি কমানোর উপায় এর মধ্যে নিয়োমিত ব্যায়াম করতে হবে। এমন অনেকেই আছেন যারা অফিসে কাজ করেন বা নিজের দোকান প্রতিষ্ঠান আছে সারাদিন বসে থেকে কাজ করেন তাদের উচিত নিয়মিত ব্যায়াম করার। আপনাকে সারাদিনে ৩০ মিনিটের জন্য হলেও সেই সময় বের করে ব্যায়ামের জন্য বের করতে হবে।
লার্নি ফাইবিডির শেষ কথা
বর্তমানে মেদ ভুড়ি বৃদ্ধি নিয়ে অনেক মানুষই এই সমস্যায় ভুগছে। তাই আমাদের উচিত নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া, বাজারের ফাস্টফুড, তেলে ভাজা খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখা। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। নিজের যত্ব নেওয়া। কাজের পাশাপাশি খেলাধুলা, ব্যায়াম করা এসব করলেই আমাদের মেদ ভুড়ি কমা ছাড়াও শারীরিক ভাবে অনেক সুস্থতা থাকা যাবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।